প্রত্যয় নিউজ ডেস্কঃ জলবায়ু উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় জলোচ্ছ্বাসের কবল থেকে সুন্দরবনকে রক্ষার দাবিতে প্রতীকী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
শনিবার দুপুর ১টায় সুন্দরবনের করমজলে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের যৌথ আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন বাপা বাগেরহাট জেলা কমিটির আহ্বায়ক মো. নূর আলম শেখ, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার ইস্রাফিল বয়াতি, বাপা নেতা নাজমুল হক, মারুফ বিল্লাহ।
মানববন্ধন বক্তারা বলেন, জলবায়ু উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে পৃথিবীর জমানো বরফখণ্ড গলে সমুদ্রে যাচ্ছে। এর ফলে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে সুন্দরবনর ভিতরে অতিরিক্ত লবণ পানি প্রবেশ করছে। এতে সুন্দরবনের ভিতর এবং সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় সুপেয় পানির আধার গুলি লবণাক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে বন্যপ্রাণীসহ মানুষের সুপেয় পানির সংকট যেমন সৃষ্টি করেছে পাশাপাশি কুমিরসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর প্রজননে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। সমাবেশে বক্তারা বিশ্ব নেতৃত্বের কাছে ঋণ নয় ক্ষতিপূরণ দাবী করে জলবায়ু ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার দাবী করেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা, “টাইম ফর ন্যাচার” “ক্লাইমেট জাস্টিস নাউ” “গ্রীণ রিকভারি” “গ্রিণ জবস” “সেভ দি পশুর রিভার, সেভ দি সুন্দরবন” প্রভৃতি লেখা শ্লোগান লেখা প্লাকার্ড প্রদর্শন করেন। উল্লেখ্য গত ৫০ বছরে পশুর নদী এবং সুন্দরবনের মধ্যে কোন ধরণের সিগন্যাল-ঘূর্ণিঝড় ছাড়া এতো পানি বৃদ্ধি হতে দেখা যায়নি।
সুন্দরবনের অভ্যন্তরে অতিরিক্ত লবণ পানি প্রবেশ এবং পানি বৃদ্ধির খবরের সত্যতা স্বীকার করে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, গত ১০ বছর ধরে আমি সুন্দরবনে আছি। এর আগে সিগনাল ছাড়া এতো পানি বাড়তে দেখেনি। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট পানি বেড়েছে গত কয়েকদিন ধরে। এতে কুমিরের ডিম পাড়ার জায়গা নষ্ট হয়ে গেছে। পাশাপাশি সুপেয় পানির আধার গুলি নষ্ট হয়েছে এবং বন্যপ্রাণীর প্রজননসহ স্বাভাবিক জীবনযাপনে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন